১। ব্র্যাক বিডিপি
২। এস.এস.এস
৩। পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র।
৪। দিশারী
৫। আশা
৬। প্লান বাংলাদেশ
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের পরিচিতি: প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল একটি আর্ন্তজাতিক শিশু কেন্দ্রিক উন্নয়ন সংস্থা। প্ল্যান ১৯৩৭ সালে স্পেনে প্রথম সেবামূলক কার্যক্রম শুরু করে । সংস্থার হেডকোয়ার্টার যুক্তরাজ্যে অবস্থিত । বর্তমানে প্ল্যান সারা বিশ্বের ৭১ টি দেশে কাজ করছে।। যার মধ্যে ৫০ টি প্রোগ্রাম কান্ট্রি যেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন যেমন- স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু অধিকার ও সুরক্ষা, শিশু বিবাহ বন্ধ, বালিকা ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কারাতে প্রশিক্ষণ, পুষ্টি, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, জন্মনিবন্ধন, আয়বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ২১ টি রয়েছে দাতা দেশ যারা এই উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য অর্থের যোগান দেয়। প্ল্যান ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এছাড়া প্ল্যান ১৯৯৩ সালে ইউনিসেফ কর্তৃক উন্নয়ন সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে । প্ল্যান এর কোন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সম্পৃক্ততা নেই। উন্নয়নশীল দেশসমূহে প্ল্যান সরকার ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সাহায্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে নিজ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের কার্যক্রম:১৯৯৪ সালে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। বর্তমানে দেশের ৭টি জেলার ১০টি উপজেলায় সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে অংশগ্রহনমূলক প্রক্রিয়ায় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে আসছে। এলাকার বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাজের মানকে গতিশীল করতে এবং এলাকাবাসীর ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্ল্যান সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ৩৫টি সেবাদানকারী সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা:বাড়ী নং- সি ডাব্লিওএন (বি)১৪,রোড নং - ৩৫, গুলশান - ২ঢাকা - ১২১২। সংস্থা প্রধানের নাম: সেন্নায়েত গেব্রিগ্জেবিয়ার, পদবী: কান্ট্রি ডিরেক্টরফোন/ মোবাইল:০২-৯৮৬০১৬৭, ৮৮২৬২০৯ফ্যাক্স নং - ৯৮৬১৫৯৯ ই-মেইল: ঢ়ষধহ.নধহমষধফবংয@ঢ়ষধহ-রহঃবৎহধঃরড়হধষ.ড়ৎম সংস্থার নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য:এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, নিবন্ধন নং - ৬৭০, সাল ১৪/১২/১৯৯২ প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সুদূর প্রসারী লক্ষ্য মানুষের অধিকার আর মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এমন একটি বিশ্বসমাজ গড়ে তোলা যেখানে শিশুরা তাদের সুপ্ত সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালএর উদ্দেশ্য:প্ল¬্যান এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিশেষ করে শিশুদের চাহিদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে জোরদার করার লক্ষ্যে এলাকাবাসীকে নিয়ে কাজ করা। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ যাদের নিয়ে কাজ করেক্সপ্ল্যান বাংলাদেশ প্রধানত শিশুদের নিয়ে কাজ করে।ক্সসমাজে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্ল্যান বাংলাদেশের সহযোগিতা পেয়ে থাকে। বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণী ও নারীদের নিয়ে কাজ করে । প্ল¬্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কর্মপন্থাক্সশিশু কেন্দ্রিক সমাজ উন্নয়ন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর ৪টি প্রধান কর্মসূচী রয়েছে । কর্মসূচী ভিত্তিক কার্যক্রমগুলো নি¤েœর টেবিলে দেখানো হল। গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচীস্বাস্থ্য কর্মসূচীশিশু সুরক্ষা কর্মসূচীদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী§৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য শিশু বিকাশ কার্যক্রম§৫-৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রি -স্কুল§বিদ্যালয় ক্যাচমেন্টের ৩-১১ বছর বয়সী সকল শিশুর জন্য বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা§মা ও শিশু স্বাস্থ্য§নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত§প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা§বিদ্যালয় এবং কমিউনিটি পর্যায়ে স্যানিটেশন, নিরাপদ পানি এবং হাইজিন কার্যক্রম§শিশু অধিকার বাস্তবায়ন§শিশু সুরক্ষা §শিশু বিবাহ বন্ধ প্রকল্প§বালিকা ক্ষমতায়ন প্রকল্প§যুব অর্থনৈতিক উন্নয়ন§সু-শাসন প্রতিষ্ঠা §সংগঠন উন্নয়ন§সার্বজনীন জন্মনিবন্ধন §জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিদ্যালয়ে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণে সহায়তা।§দুর্যোগ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি।§দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একযোগে কাজ করা। প্ল্যান এর গাজীপুরস্থ আঞ্চলিক অফিসের ঠিকানা:হাসপাতাল রোড (শাপলা সিনেমা হলের পশ্চিমে)শ্রীপুর, গাজীপুর। আঞ্চলিক প্রধানের নাম ঃ মো: আব্দুল কুদ্দুছ । পদবী: প্রোগ্রামইউনিট ম্যানেজার ফোন/ মোবাইল: ০৬৮২৫-৫১৫১২, ০১৭১২- ৫৩৮৪৩০ই-মেইল: ধনফঁষ.য়ঁফফঁং@ঢ়ষধহ-রহঃবৎহধঃরড়হধষ.ড়ৎম রাজাবাড়ী ইউনিয়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কার্যক্রম ঃপ্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ রাজাবাড়ী ইউনিয়নে ১৯৯৬ সাল থেকে কাজ করে আসছে। বর্তমানে সমগ্র ইউনিয়নে প্রায় ৭ ,০০০ পরিবারের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করছে। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রথমে কমিউনিটি শিক্ষা কর্মসূচীর মাধ্যমে রাজাবাড়ী ইউনিয়নে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে প্ল¬্যান ৪ টি মূল কর্মসূচীর মাধ্যমে রাজাবাড়ী ইউনিয়নে উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহযোগিতা করছে। কর্মসূচীগুলো হলো- গুনগত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচী, স¦াস্থ্য কর্মসূচী, শিশু সুরক্ষা কর্মসূচী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচী। বরমী ইউনিয়নে প্ল্যান এর পার্টনার (সহযোগী ) সংস্থাসমূহ ঃ সংস্থা প্রকল্প কর্মএলাকাদুঃস্থ্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কমিউনিটি ম্যানেজড হেলথ কেয়ার সকল গ্রাম রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ বিকেন্দ্রীকৃত সার্বিক স্যানিটেশনসকল গ্রামঢাকা আহছানিয়া মিশনগুণগত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচী ১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঢাকা আহছানিয়া মিশনশিশু কেন্দ্রিক সুশাসন সকল গ্রাম বরমী ইউনিয়নে প্ল¬্যান ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত চলমান কর্মসূচী সমূহের পরিচিতিঃ ১.প্রকল্পের নামঃ প্রাক শৈশব শিশুর যতœ ও বিকাশ কর্মসূচী (ঊধৎষু ঈযরষফযড়ড়ফ ঈধৎব ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ চৎড়লবপঃ)প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- শৈশবকালীন শিশুর বেঁচে থাকা, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অভিভাবক ও শিশুর যতœকারীদের শিশু লালন-পালনে দক্ষতা বৃদ্ধি করা। শিশুদের (বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের) শৈশবকালীন যতœ ও বিকাশের সুযোগ বৃদ্ধি করা।বর্তমানে রাজাবাড়ী ইউনিয়নে ৬৪ টি শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও ১৬ টি প্রি স্কুলে সহযোগীতা রয়েছে।উপকারভোগী সংখ্যাঃ- প্রত্যক্ষ ১২৬০ জন, পরোক্ষ প্রায় ৩০০০ জন ২.প্রকল্পের নামঃ গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচী প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- বালক ও বালিকারা যাতে সমান সুযোগ পেয়ে যথাযথ যোগ্যতা নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় চক্র শেষ করতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করা। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় শিশু ও কমিউনিটির অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। বর্তমানে ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রমটি চালু রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্যারা শিক্ষক,শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপকরণ,মা সমাবেশ ও দিবস উদ্যাপনে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে ।উপকারভোগী সংখ্যাঃ- প্রত্যক্ষ ৩৯৯৪ জন শিশু (প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী) পরোক্ষ প্রায় ৬০০০ জন ৩.প্রকল্পের নামঃ যুব অর্থনৈতিক উন্নয়নপ্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- - হত দরিদ্র অদক্ষ যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।রাজাবাড়ী ইউনিয়নের সকল গ্রামেই এই প্রকল্পের বিষয়ে সকলকে অবহিত করা হচ্ছে।৪.প্রকল্পের নামঃ শিশু কেন্দ্রিক সমাজ উন্নয়ন (ঈযরষফ ঈবহঃবৎবফ ঈড়সসঁহরঃু উবাবষড়ঢ়সবহঃপ্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বিশেষ চাটিদা সম্পন্নদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা। মৌলিক সেবাসমূহে সকলের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা। প্ল্যানের কর্ম এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও তৃণমূল সংগঠন সমূহের অংশগ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে জবাবদিহিতা এবং সুশাসন গতিশীল করা। প্লানের কর্ম এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রমসমূহের মধ্যে শিশু অধিকার গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা।রাজাবাড়ী ইউনিয়নে ১৬টি গ্রাম উন্নয়ন কমিটি ও ১৬টি শিশু সংগঠন আছে যেখানে ২৮টি গ্রামের শিশু, নারী ও পুরুষের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।এদের সাথে নিয়মিত সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ,পাড়া মিটিং ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় সহযোগিতা করা হয় ।উপকারভোগী সংখ্যাঃ প্রত্যক্ষ ৯৮০০ জন, পরোক্ষ প্রায় ২৫৫০০ জন। ৫.প্রকল্পের নামঃ বালিকা ক্ষমতায়ন প্রকল্প প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ বালিকা ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরন ( বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে )উপকারভোগী সংখ্যাঃ ৩,০০০ জন বালক, বালিকা, নারী ও পুরুষ ৬.প্রকল্পের নামঃ শিশু বিবাহ বন্ধ শিশু বিবাহের কুফল সর্ম্পকে বিভিন্ন ক্যাম্পইনের মাধ্যমে (প্রশিক্ষণ ,অভিভাবক সভা, ইমাম প্রশিক্ষণ,মেয়ে শিশুদের প্রশিক্ষণ,স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকদের সাথে মিটিং,উন্নয়ন নাটিকা, র্যালী) জনগনকে সচেতন করা হচ্ছে।উপকারভোগী সংখ্যাঃ প্রত্যক্ষ ২০০০ বালিকা ৭.প্রকল্পের নামঃ ক্রস কালচারাল কমিউনিকেশন। প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ তৈরীতে সহায়তা করা। সেচ্ছাসেবকদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করা।উপকারভোগী সংখ্যাঃ প্রত্যক্ষ ৬০০ জন, পরোক্ষ ২৫০০০ জন।৮.প্রকল্পের নামঃ সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন ( টইজ)। প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- রাজাবাড়ী ইউনিয়নের সকল বয়সের মানুষের জন্য জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করা।উপকারভোগী সংখ্যাঃ ৫৭,০০০ জন ৯.প্রকল্পের নামঃ বিকেন্দ্রীকৃত সার্বিক স্যানিটেশন। প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে স্যানিটেশন কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন। ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃত্বে সরকারের স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও, এলাকার জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউনিয়নের সার্বিক স্যানিটেশনের স্থায়ীত্বশীল মডেল তৈরি করা। এলাকার জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা বিশেষত; শিশু, নারী ও দরিদ্র জনগণের । যাতে তারা তাদের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে । মৌলিক স্যানিটেশন সুযোগ সুবিধায় জনগণের অংশগ্রহণ ও ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং উন্নত স্বাস্থ্যাভ্যাসে উদ্বুদ্ধ করা।উল্লেখ্য যে, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০১৫ সালে রাজাবাড়ী ইউনিয়নে ৫০০ হতদরিদ্র পরিবারকে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন এবং ১১টি ডিপসেট টিউবয়েল স্থাপনে সহযোগিতা প্রদান করবে এবং বর্তমানে এই কাজ চলমান রয়েছে।উপকারভোগী সংখ্যাঃ ৪৫০০০ জন ১০.প্রকল্পের নামঃ কমিউনিটি ম্যানেজড হেল্থ কেয়ার প্রোগ্রাম (কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প)। প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো। শিশুর বিকাশ ও উন্নয়ন। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সহায়তা।রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ৬ টি কমিউনি ক্লিনিকে ৬টি কমিউনিটি গ্রুপ ও ১ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র ব্যবস্থ্পনা কমিটিকেসক্রিয়করন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গুনগত স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে সহায়তা করা হচ্ছে। নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়নের ৩ জন নারীকে দক্ষ ধাত্রী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য ৬ মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কুমুুদিনি মেডিকেল কলেজ এই প্রশিক্ষন প্রদান করেছে। উপকারভোগী সংখ্যাঃ ৫০,০০০ জন। বরমী ইউনিয়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর উল্লে¬খযোগ্য অর্জনসমূহ ঃ §স্থানীয় সরকার, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে রাজাবাড়ী ইউনিয়নে শতভাগ অনলাইন জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে এবং শতভাগ জন্ম নিবন্ধন অর্জনকারী ইউনিয়ন হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।§রাজাবাড়ী ইউনিয়ন তথা সমগ্র গাজীপুর জেলায় অনলাইন জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।§উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃত্বে রাজাবাড়ী, ইউনিয়নকে শিশু বিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।§শিশু অধিকার নিশ্চিত ও জেন্ডার বৈষম্য দূর করার জন্য রাজাবাড়ী ইউনিয়নে ১টি শিশু ফোরাম ও শিশু সুরক্ষা দল গঠন করা হয়েছে।§বিকেন্দ্রীকৃত সার্বিক স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে এবং উপজেলা প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় পরিবার পর্যায়ে রাজাবাড়ী ইউনিয়ন ২০০৬ সালে শতভাগ লেট্্িরন কভারেজের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। §১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সার্বিক স্কুল স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যাভ্যাস উন্নয়নের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। §১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়ে ও ছেলে শিশুদের জন্য আলাদা ল্যাট্রিন স্থাপন ও পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে।§ রাজাবাড়ী ইউনিয়নের জনগণের মধ্যে শৈশবকালীন শিশুর বেঁচে থাকা, বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অভিভাবক ও শিশুর যতœকারীদের শিশু লালন-পালনে দক্ষতা বৃদ্ধি হয়েছে। §কৈশোর প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ৫,০০০ কিশোর কিশোরী ও তাদের অভিবাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। §রাজাবাড়ী ইউনিয়নের মায়েরা তাদের ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের নিবিড় মাতৃদুগ্ধ পান করানোর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। §সরকারের ৬ টি কমিউনিট ক্লিনিকের মাধ্যমে প্ল¬্যান বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে। § প্রতিমাসে ১২ টি বিসিসি সেশনের মাধ্যমে মায়েদেরকে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।§বালক ও বালিকারা যাতে সমান সুযোগ পেয়ে যথাযথ যোগ্যতা নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় চক্র শেষ করতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য ১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় শিশু ও কমিউনিটির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। §কৌশলগত এবং ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রায় ৫০০ পরিবারের কৃষিভিত্তিক উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে।§প্ল্যান বাংলাদেশ এর সার্বিক কার্যক্রম সমূহ রাজাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, পরামর্শ ও উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস